জিজ্ঞাসা (১৯): প্রতিদিন ফজর ও ‘ইশার সালাতের সালাম ফিরানোর পর পরই সুন্নতী যিকর-আযকার করার সুযোগ না দিয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ইমাম কর্তৃক কুরআন ও হাদীসের দারস দেওয়ার শরয়ী বিধান কী? [আব্দুর রউফ আল আফিফি, টাংগাব, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ]
জবাব: নবী (ﷺ) প্রত্যেক ফরজ সালাতের পরই সাহাবীদেরকে দারস দিতেন। কখনো কখনো তিনি দারস দেওয়া থেকে বিরতও থাকতেন। বর্তমানে কোনো কোনো মসজিদে দেখা যায় সালামের পর কেউ দারস দিতে দাঁড়ালে মুসল্লীগণ রাগ করেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, সালামের পর দারস শুরু করে দিলে যিকর-আযকার পাঠ করতে অসুবিধা হয় এবং পরে আসার কারণে যাদের কিছু সালাত ছুটে গেছে, তাদের সালাত পূর্ণ করতে সমস্যা হয়। আমরা বলবো, আসলে উপরিউক্ত কারণে রাগ করাটা ঠিক নয়। কারণ, সালামের পরপরই দারস শুরু না করে যিকর-আযকার শেষ করা পর্যন্ত দেরি করলে কিংবা পরে আগমনকারীদের সালাত শেষ করা পর্যন্ত দেরি করলে তো লোকেরা চলে যাবে। দারস দেওয়ার উদ্দেশ্য হাসিল হবে না। মোটকথা রাসূল (ﷺ) যেহেতু ফরজ সালাতের পর দারস দিয়েছেন, তাই আমরাও সালাতের পর দারসের ব্যবস্থা করবো। এতে কারো রাগ করা ঠিক নয়। আর আমরা দারস দিলে সালাতের ব্যঘাত ঘটা এবং যিকর আযকার পাঠ করতে অসুবিধা হওয়ার বিষয়টা সমর্থনযোগ্য নয়। পরে আগমনকারী তার সালাতে মনোযোগ দিবে। আর যিকর-আযকার পাঠকারী দারস শেষে কিংবা দারস অবস্থাতেই যিকর-আযকার পাঠ করে নিবে। মূলত এ কাজগুলোর একটি আরেকটির পথে বাধা সৃষ্টিকারী নয়। তবে সামান্য একটু দেরি করাটা উত্তম বলা যেতে পারে।