জিজ্ঞাসা (২২): যতদূর দেখেছি মহান আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তার মেয়ে উম্মু কুলসুমকে দাফন করার সময় বলেছিল যে, তোমাদের মধ্যে কে গতদিন স্ত্রী সহবাস করোনি? তখন আবূ ত্বালহাহ্ বলেছিল যে, মহান আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমি…! তখন মহান আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন: তাহলে তুমি কবরে অবতরণ করো! তখন আবূ ত্বালহাহ্ (রাঃ) কবরে নেমেছিলেন এবং উম্মু কুলসুমকে দাফন করেছিলেন। এখন আমাদের দেশে যে কেউ কবরে নামে, সে গতদিন সহবাস করলেও আর না করলেও! কিন্তু আমার প্রশ্ন গতদিন স্ত্রী সহবাস করেছে সেই ব্যক্তি কবরে অবতরণ করতে পারবে কি? এবং সেই ব্যক্তি কবর খুঁড়তে পারবে কি? [জাহিদ হাসান, মনিরামপুর, যশোর]
জবাব: আল্লাহভীরু মানুষ দ্বারা ক্ববর খোঁড়া ভালো। উম্মু কলসুম (রাঃ)-এর কবর খোঁড়ার বিষয় নয়; বরং তাঁর দেহ ক্ববরে রাখার ব্যাপারে রাসূল (সাঃ) বলেছিলেন: তোমাদের মধ্যে কে গতরাতে স্ত্রী সহবাস করোনি? (সহীহুল বুখারী-হা. ১২৮৫)। এ প্রশ্নের গতরাত্রে স্ত্রী সহবাসকারী ক্ববরে নামতে পারবে না এটা বুঝায়নি; বরং এখানে উদ্দেশ্য ছিল এমন ব্যক্তি মহিলাদের লাশ দাফনের জন্য ক্ববরে নামবে, যে সদ্য স্ত্রী সঙ্গ হতে দূরে ছিল। যাতে ক্ববরে মহিলার লাশ রাখার সময় মহিলার দেহের কোনো অঙ্গ নিয়ে ঐ লোকের মনে কোনো প্রতিচ্ছবি পরিকল্পনায় না আসে (ফাতহুল বারী- ৩/১৫৯)। কেননা, সদ্য স্ত্রী সঙ্গদানকারী পুরুষের মনে সহবাসের নিকটতম প্রতিচ্ছবি মহিলা দেখামাত্র কল্পনায় আসা স্বাভাবিক। আর রাসূল (সাঃ) তাঁর মেয়ে উম্মু কুলসুম (রাঃ)’র লাশ কবরে রাখার ক্ষেত্রে বিষয়টি খুব যত্নসহকারে বিবেচনা করেছিলেন। কোনো লাশ রাখার জন্য যে কোনো মুসলিম ক্ববরে নামতে পারেন। তবে সমাজের অধিকতর দ্বীনদার ব্যক্তি দ্বারা এ কাজটি করালে মানুষ দ্বীন মুখী হবে এবং বেশি বেশি তাক্বওয়া অর্জনের চেষ্টায় সময় ও চিন্তা নিয়োজিত করতে উৎসাহবোধ করবে। তাই ক্ববরে নামার ব্যাপারে দ্বীনদার ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। ওয়াল্লাহু আ‘লাম।